ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি শাহ আবদুল করিমের গান কথা বলে সব অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। মানবপ্রেমের মধ্য দিয়ে জগৎ সংসার আলোকিত করা এবং সমাজের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির বার্তা দেয় তাঁর গান। তাঁর গানে ফুটে উঠেছে সাম্যবাদী ধারার সুর।
হীরালাল সেনকে ভারতবর্ষের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন মনে করা হয়। তাঁর জন্ম ১৮৬৬ সালে, মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামে। সে হিসাবে তাঁকে প্রথম বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা বললেও ভুল হবে না। আবার তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যেও প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতা। কিন্তু এই গুণী মানুষটি সেভাবে আলোচনায় নেই। তিনি আ
আপনাদের মনে হতেই পারে যে এই লোকটা তৃতীয় বিশ্ব থেকে উঠে এসেছে, গল্প লেখার মতো মানসিক শান্তি এ পেল কোথায়? আপনাদের এই মনে হওয়া যথার্থ। আমি এমন এক বিশ্ব থেকে এসেছি, যা ঋণের ভারে নুইয়ে রয়েছে। সেই ঋণ চোকাতে গিয়ে দেশবাসীকে প্রায় অনাহারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হচ্ছে। এশিয়ায় কিছু মানুষ ভেসে যাচ্ছে বন্যায়, আফ্রিকা
কম্পিউটার-ইন্টারনেট-টিভির মতো বিস্ময়কর আবিষ্কার সম্পর্কে আমরা অবহিত। এটা একটা বিপ্লব। তবে এমন নয় যে মানবসভ্যতায় এটাই প্রথম বিপ্লব। মুদ্রণ-বিপ্লব দুই-এক দশকে ঘটেনি, দীর্ঘ সময় লেগেছে, তা আমাদের মন ও চিন্তাধারাকে পাল্টে দিয়েছে।
কবিকে নিয়ে ছবি করা হলো সবচেয়ে যাচ্ছেতাই কাজ। তাঁদের কাজ একেবারেই সুদৃশ্য নয়। কখনো টেবিলের সামনে অথবা সোফায় গা এলিয়ে তাঁরা নিশ্চল হয়ে বসে থাকেন দেয়ালের দিকে তাকিয়ে।
চীনের খ্যাতনামা সাহিত্য-সমালোচক ইয়াও হাই ১৭৭৬ সালে বিদ্যমান সাহিত্যিক প্রকরণগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করেন, যার মধ্যে ছিল প্রবন্ধ, সরকারি নথিপত্র, জীবনী, সমাধিফলক, কবিতা, শোকগাথা ও ইতিহাস। কিন্তু বিস্ময়করভাবে এ তালিকায় উপন্যাস অনুপস্থিত, যদিও এ সময়ের আগেই চীনের উপন্যাস গণমানুষের মাঝে জন্ম নিয়ে, প্র
আহরণপ্রবণতা—যতটা সম্ভব পণ্য বা পণ্যের বড় অংশ দখলে রাখার ইচ্ছা, এমন এক প্রেরণা বা প্রণোদনা, আমি মনে করি ভয় ও প্রয়োজনীয়তার প্রতি আকাঙ্ক্ষার সম্মিলনই যার উৎস।
বাবা চেয়ারটা সোজা করেই বসতেন। তাঁর চোখে উপচে পড়ত আলো। বলতেন, ‘আমি ধন্য যে তোমাকে এই ঋণের ফাঁদে জড়াতে পেরেছি।’ বলতাম, ‘বাবা, তুমি হয়তো ঠিক। কিন্তু একবার ভেবে দেখো, এ রকম কতজনের কাছেই আমার ঋণ।
...আপনাদের মনে করিয়ে দিই সেই সময়ের কথা, যখন ভারত তার সভ্যতার স্বর্ণচূড়ায়। একের পর এক জগদ্বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় তখন এখানে। যখন কোনো বাতি জ্বালানো হয়, তা একটি ছোট ক্ষেত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তা গোটা বিশ্বের সম্পদ হয়ে ওঠে। ভারতের এবং তার বর্ণময়, দ্যুতিপ্রভ, জ্ঞানমন্ত্র সভ্যতা শুধু তার সন্তানদের জ
একশ্রেণির শিল্পী রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের স্বাধীন এক আধ্যাত্মিক জগতের স্রষ্টা হিসেবে কল্পনা করেন এবং সেই জগতের সব সৃষ্টি ও মানুষের যাবতীয় দায়-দায়িত্বও তাঁরা তাঁদের ঘাড়ে নিয়ে নেন; কিন্তু তাঁরাও একসময় অবসন্ন হয়ে পড়েন। কেননা পৃথিবীর কোনো প্রতিভাবানের পক্ষেই তা ধারণ করা সম্ভব নয়।
বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব কবির কাছেই বারবার ফিরে গিয়েছি, যাঁদের লেখায় নিজে অভিনয় করেছি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। যাঁরা গভীর, আবেদনময়, অনেক সময়ই গোপন। অধিক জনপ্রিয়, মাঠময়দানের কবিকে আমি এড়িয়ে গিয়েছি।
...যখন ওই স্যুটকেসটি আমি ছুঁয়ে দেখলাম, তখনো কিন্তু খুলতে পারিনি। তবে আমি জানতাম এর মধ্যের কয়েকটি নোটবুকে কী থাকতে পারে। তার কিছু আমি বাবাকে লিখতেও দেখেছি। এমনটাও নয় যে ওই ব্যাগের ভার সম্পর্কে আমি আগে জানতাম না
এই দুটি ক্ষেত্রেই এর বেশি কোনো তথ্যের নির্মাণ আমার কাছে নেই। প্রথমটির ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, কোনো একজন একজোড়া কাঁচি খুঁজছে। সেগুলো সম্পর্কে জানতে চাইছে এবং সন্দেহ করছে যে অন্য একজন তা চুরি করেছে।
এখন প্রাকৃতিক প্রপঞ্চের জন্য পরীক্ষিত অনেক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় এবং আরও কিছু পাওয়া সম্ভব এমন কথাও সামনে আসছে। এ কারণে মিথের ধরন সম্পূর্ণরূপে কখনোই পরিত্যক্ত হতে পারে না, যদিও আমরা এটাকে সেকেলে ভাবতে নানান সময়ে প্রবৃত্ত হই। যদিও এটা কিছু সমাজে বাচ্চাদের ঘুম
আমেরিকান সাহিত্যের আগমন বর্তমান শতাব্দীর বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এর প্রথম প্রকাশ ঘটে ইংরেজি ভাষাভাষী রাষ্ট্রগুলোয়। এরপর ক্রমান্বয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে লাতিন আমেরিকার দুটি প্রধান শাখা—স্প্যানিশ আমেরিকা ও ব্রাজিলে। খুব পৃথক হলেও এই তিন সাহিত্যধারার (আমেরিকা, স্প্যানিশ আমেরিকা, ব্রাজিল) একটি সাধারণ বৈশ
আকর্ষণীয় ও বিস্তারিত বর্ণনার একজন ওস্তাদ মাখসেল প্রস্ত, আমি কিছুক্ষণের জন্য ফিরে যাচ্ছি ‘স্যাঁৎ ব্যোভের বিরুদ্ধে’ বইয়ে। প্রস্ত লিখছেন, ‘বস্তুত জনসমক্ষে যা প্রকাশিত হয় তা হলো কারও গভীরতর সত্তার নিঃসরণ, একাকী ও কেবল নিজের জন্য তা লিপিবদ্ধ হয়।
গল্প লেখকদের মধ্যেও এমন অনেকেই ছিলেন যাঁরা তাঁদের গল্পের শান্ত স্রোতকে বাঁকিয়ে দিতে পারতেন অন্যান্য শাখা-উপশাখায়। ফলে জলধারা শুকিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে ক্রমেই চওড়া হতে থাকত।